একজন মুমিনের প্রতিদিনের কুরআন পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত।
একজন মুমিনের প্রতিদিনের কুরআন পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত এই নিয়ে কিছু ধারণা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। একজন মুমিনের প্রতিদিনের কুরআন পড়ার উপর নির্ভর করছে বিশ্ব ইসলামিক সমাজ। বিশ্ব পরিবর্তন করার জন্য বহু মানুষের প্রয়জন হয় না, একটি মহান মানুষ যথেষ্ট। তাই একজন মুমিনের সবথেকে বেশি তার নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দেওয়া একান্ত প্রয়জন।
একজন মুমিনের প্রতিদিন অর্থসহ কুরআন পড়া।
একজন মুমিনের প্রথম কাজ হবে অর্থসহ কুরআন পড়া। দিনে একবার বা একাধিকবার যথেষ্ট সময় ব্যয় করে ও ধৈর্য সহকারে অর্থসহ কুরআন পড়া। এই মহাগ্রন্থ কুরআন পড়ার মাধ্যমে একজন মুমিনের মস্তিষ্ক ও হৃদয় আল্লাহ্র গুণাবলির গুণে আলোকিত হবে। কুরানের মাধ্যমে আমাদেরকে মস্তিস্ককে প্রোগ্রামিং করতে হবে যেন আমাদের মস্তিষ্কের সমস্ত কনট্রোল আল্লাহ্র ইচ্ছার উপর চালিত হয়।
দিনে কতটুক কুরআন পড়বেন।
অনেক সাহাবীগণ কুরআনকে সাত ভাগে ভাগ করে পড়তেন। এবং প্রতি সপ্তাহে একবার কুরআন খতম করতেন। সাহাবিগণের কুরআন পড়ার ধরন ঠিক যেমন ছিল-
- সূরা ফাতিহা থেকে সূরা নিসা পর্যন্ত।
- সূরা মায়েদা থেকে সূরা তাওবা পর্যন্ত।
- সূরা ইউনুস থেকে সূরা নাহল পর্যন্ত।
- সূরা ইসরা থেকে সূরা ফুরকান পর্যন্ত।
- সূরা শু'আরা থেকে সূরা ইয়াসীন পর্যন্ত।
- সূরা সাফফাত থেকে সূরা হুজরাত পর্যন্ত।
- সূরা ক্বাফ থেকে সূরা নাস পর্যন্ত।
সুবহানাল্লাহ, সাহাবীগণের কুরআন পড়ার এই পদ্ধতি দেখে আমি হতভম্ব। আর রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ যে- "তোমরা এক মাসে একবার কুরআন খতম করো।" তিনি তিন দিনে খতমের নিচে করতে নিষেধ করেছেন। 📘 (বুখারী, মুসলিম) কারণ, বেশি দ্রুত পড়লে অর্থ বোঝা ও হৃদয়ে গভীরতা আনা কঠিন হয়।
কুরানের বিকল্প কিছু আছে।
না, কুরানের বিকল্প কিছু নেই। কুরআন আমাদের পড়তেই হবে, আর অর্থ বুঝেই পড়তে হবে। নিয়মিত কুরআন পড়ার পাশাপাশি আপনি আরও কিছু ইসলামিক এক্টিভিটি করতে পারেন। কিন্ত কুরআন পড়বেন না, আর বাকি সব ইসলামিক এক্টিভিটি করবেন এটা কতটুক গ্রহণযোগ্য হবে আমার জানা নেই।
কারণ কুরানের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের সরাসরি উপদেশ দেই ও বিভিন্ন উপমা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেন। একটি কথা আপনারা আমার সঙ্গে এক মত হবেন যে- মানুষের বুঝানো আর আল্লাহ্র বুঝানো, আকাশ ও জমিনের মত পার্থক্য হবে। তাই আমরা সরাসরি অর্থসহ কুরআন পড়ব ইনশাল্লাহ।
Post a Comment